সালেহ্ বিপ্লব: [৩] প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক জিয়ার সাজার কথা উল্লেখ করে বলেন, আমেরিকার গোয়েন্দার সাক্ষীতেই কিন্তু তার সাজা হয়েছে। তবে এদের (আমেরিকার) লজ্জা নেই। এরা একজনকে এমন করবে, আবার কখন কাকে পছন্দ করে ক্ষমতায় নিয়ে আসে তার ঠিক নেই।

[৪] আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, অনেক চক্রান্ত সত্ত্বেও নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আন্তর্জাতিক একটি মহল চেয়েছিলো তাদের অনুগত দাস সরকার বসাবে। আমি নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়েছি। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিদেশিদের সেই চক্রান্ত নস্যাৎ করে দিয়েছে। 

[৫] বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ভৌগোলিক অবস্থার কারণে অনেকের নজর আছে আমাদের ওপর। কাজেই এখানে বসে অন্য দেশের ওপর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাবে, এয়ার অ্যাটাক চালাবে সেটা আমি মেনে নেব না। আমরা ছোট হতে পারি। আমরা স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ। আমরা স্বাধীনভাবে চলব।

[৬] প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির দুই শীর্ষনেতা দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। দলে নেতৃত্ব না থাকায় তারা নির্বাচনে আসেনি। বরং নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করেছে। সবচেয়ে খারাপ কাজ করেছে ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করে। ২০১৩ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত যেভাবে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, সেটা এবারও করেছে। ২৮ অক্টোবর পুলিশ হত্যা করেছে। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করেছে। বিএনপি প্রমাণ করেছে, তারা একাত্তরের পরাজিত শক্তির দোসর। 

[৭] প্রধানমন্ত্রী বিএনপির মন্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, এতো তাড়াতাড়ি কেনো সরকার গঠন করলাম, সে নিয়েও কথা উঠেছে। আমরা বিজয়ী হয়েছি, সরকার তো গঠন করবোই। দেরি কেনো করবো? আমাদের উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। একটি দিনও আমাদের জন্য অনেক মূল্যবান। 

[৮] বিএনপি অফিসের তালা ভাঙা প্রসঙ্গে স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে হাস্যরস করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমি জানি না, তালা ভাঙার সময় রিজভী সেই গানটা গেয়েছিলেন কি না, ভেঙে মোর ঘরের চাবি নিয়ে যাবি কে আমারে। 

[৯] প্রধানমন্ত্রী বলেন, তালার নাকি চাবি খুঁজে পায় না। তালাটা লাগালো কে? পুলিশ তালা মারলে সিলগালা করা থাকতো। আসলে তালা তারা নিজেরাই মেরেছে। এভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চায়। 

[১০] শনিবার বিকেলে টুঙ্গিপাড়া আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সরকারপ্রধান এ কথা বলেন। নবনির্বাচিত মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তিনি এ সভায় অংশ নেন। 

[১১] প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৌকার পক্ষে রায় দেওয়ায় নিজের নির্বাচনী এলাকাসহ সারাদেশের ভোটারদের অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, এবার পরিকল্পনা আছে, সারা দেশটা আবার ঘুরে দেখবো। ঢাকায় আমার কোনো বাড়িঘর নেই, ফ্ল্যাট নেই। টুঙ্গিপাড়া আমার এলাকা। আমি এখানে এসেই থাকবো। এ বাড়ি ও বাড়ি ঘুরবো।  

[১২] এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার টুঙ্গিপাড়ার বাড়িতে নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম অনানুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সম্পাদনা:সমর চক্রবর্তী